ইন্টারনেটের নতুন উপসর্গ সেক্সটিং বিশ্বব্যাপী আতঙ্কে রূপ নিচ্ছে।
দেশে দেশে বাড়ছে সেক্সটিংয়ের মাত্রা। অনেক উন্নত দেশে অর্ধেকের বেশি টিনএজার এখন সেক্সটিং এ আসক্ত। এ কারণে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের প্রবণতা বাড়ছে।
আর এটিই এখন ভাবিয়ে তুলেছে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশকেও। ভয় জাগাচ্ছে অভিভাবক ও সমাজবিদদের মন।
সুইজারল্যান্ড সরকার সেক্সটিংয়ের দায়ে দেশটির জাতীয় সংসদের এক নারী কর্মীকে বরখাস্ত করেছে।
সেক্সটিং নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন করার কথাও ভাবছে দেশটি। খবর বিবিসি, ব্লুমবার্গ, হাফিংটন পোস্ট ও এমটিভিডটকমের।
‘সেক্সটিং’ হচ্ছে একটি যৌনতানির্ভর চ্যাটিং অ্যাপলিকেশন।‘সেক্স’ আর ‘টেস্কটিং’ এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে এ অ্যাপ্লিকেশনের নামকরণ করা হয়েছে। এতে যৌন উত্তেজক টেক্সটের পাশাপাশি নিজের খোলামেলা ছবি বিনিময় করা হয়।এ ছবিও আসলে সেলফি।
অন্য সেলফির সঙ্গে পার্থক্য শুধু এ ছবি হয় অনেক খোলামেলা, এমনকি পুরো নগ্ন দেহের। ইন্টারনেটের স্ন্যাপচ্যাট, অরকুট বা ফেসবুকের মতো যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে চলে এই বিনিময়।
কয়েক বছর আগে সেক্সটিং শুরু হলেও সম্প্রতি এটি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাশাপাশি টিনএজাররাও এতে জড়িয়ে পড়ছে।
এতে একদিকে এসব কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে। যা নানা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
অন্যদিকে ফাঁদ পেতে থাকা দুর্বৃত্ত চক্রের হাতে চলে যাচ্ছে অনেকের এ খোলামেলা ছবি।
এগুলো আর বন্ধুদের গন্ডিদের মধ্যে থাকছে না।দুর্বৃত্ত চক্রের মাধ্যমে পণ্যে পরিণত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী বিকৃতরুচির মানুষদের কাছে।
‘টিনএজারদের অর্ধেক সেক্সটিং আসক্ত’
যুক্তরাজ্যে টিনএজার তথা অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সেক্সটিং মারাত্মকভাবে বাড়ছে।
দেশটির একটি প্রধান গবেষণা সংস্থা দ্যা ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক পলিসি রিসার্চ এর এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সে দেশে ৫০% কিশোর-কিশোরী সেক্সটিংয়ে আসক্ত।
প্রতিষ্ঠানটি ১৮ বছরের কম বয়েসী ৫০০ তরুণ-তরুণীর উপর একটি জরীপ চালিয়েছে।
এদের ৮০ ভাগ স্বীকার করেছে তারা কোনো না কোনোভাবে ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফির সংস্পর্শে এসেছে। তারা মনে করে, তাদের বয়সী প্রায় ৫০ ভাগ তরুণ-তরুণী সেক্সটিংয়ে অভ্যস্ত।
আতঙ্কে সুইস পার্লামেন্টঃ
সেক্সটিং নিয়ে আতঙ্কে পড়েছে সুইজারল্যান্ড পার্লামেন্ট। সম্প্রতি ধরা বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা আবিষ্কার হয়েছে। পার্লামেন্টের এক নারী কর্মী সম্প্রতি তার অফিস কক্ষে তোলা নগ্ন সেলফী টুইটারে পোস্ট করেছে।
এতে দারুণ বিব্রত সবাই। ওই নারী কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে এক নার্স শুনানীর মুখোমুখী
যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালের নার্স ডন স্পার্থা এক রুগীর সঙ্গে সেক্সটিং করেন।
বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়লে তাকে শুনানীতে ডাকে দেশটির নার্সিং কাউন্সিল। সেখানে ডন বিষয়টি স্বীকার করে তার জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন। তাকে ৫ বছরের জন্য সতর্ক করে দেয় কাউন্সিল।
বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।

No comments:
Post a Comment