শুধু মারধরেই ক্ষান্ত হয়নি। ওই অর্থলোলুপদের নৃশংসতা পৌঁছেছিল চরমে। তাই তো, পণ না-পেয়ে স্ত্রী-র যৌনাঙ্গেই অ্যাসিড ঢেলে দিল তাঁর স্বামী। সঙ্গ দিয়েছিল তার বন্ধুরা।
মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলা। ৮ বছর আগে কল্যাণ আহিরওয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নিগৃহীতার। বিয়ের ২ বছর পর থেকেই শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার।
এক বার মামলাও হয়েছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি বদলায়নি। বরং চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল নৃশংসতা।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধেবেলা কল্যাণের পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা তাঁকে মাটিতে জোর করে শুয়ে রাখে। তখনই ট্র্যাক্টর থেকে ব্যাটারি ফ্লুয়িড বার করে তাঁর যৌনাঙ্গে ঢেলে দেয় কল্যাণ।
শুধু তাই নয়, কেরোসিন পান করতেও বাধ্য করেছিল তাঁকে। ওই মহিলার যৌনাঙ্গ এবং পেট পুড়ে গিয়েছে। ব্যাথায় কাতরাতে থাকলেও, চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়া তো দূররে কথা, বরং ঘরের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই গৃহবধূকে।
জানা গেছে, ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সাড়া শব্দ না-পেয়ে কল্যাণ তাঁকে মৃত বলে ধরে নেয়। তখনই নিগৃহীতার বাবাকে ফোন করে জানায়, সে আত্মহত্যা করেছে।
এর পরই মেয়ের শ্বশুরবাড়ি পৌঁছয় তাঁর বাবা। কিছু ক্ষণ পরই জ্ঞান ফিরে পান নিগৃহীতা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সব ঘটনা জানান তিনি।
নিগৃহীতার স্বামী এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ম্যানা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁর বাবা।
জানা যায়, ২০১০ সালে কল্যাণ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচারের মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু পরে কোর্টের বাইরে মিটমাট করে নেয় দুই পরিবার।


No comments:
Post a Comment