
শিক্ষিকার বয়স ৩২। ছাত্র নাবালক, বয়স মাত্র ১৩। এই বয়সের একজন বালকের সঙ্গে যৌন মিলন করে বিপাকে পড়েছেন ওই শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের আরাকানস অঙ্গরাজ্যে।
ম্যারি ফেইথ। বিবাহিতা। এক সন্তানের জননী। আরাকানসের ইন্টারমিডিয়েট বেনটন স্কুলে চাকরি করেন। পুলিশ ওই স্কুলের এক ছাত্রের মোবাইল থেকে ম্যারির অর্ধনগ্ন, বুক খোলা, এমনকি শুধু মাত্র একটি তোয়ালে পরা ছবি উদ্ধার করেছেন।
এরপর ঘটনাটি তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে তাদের মধ্যে তিন মাসের সম্পর্ক রয়েছে। এই সময়ে তারা দুইবার যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছে। যা আরাকানসের আইন অনুযায়ী ধর্ষণের সামিল।
দেশটির আইন অনুযায়ী, অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো বালক অথবা বালিকার সঙ্গে তার ইচ্ছায়/ অনিচ্ছায় কেউ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে তা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে।
বালকটির এক বন্ধু তার কাছ থেকে ফোনটি ধার নিলে সে শিক্ষিকার ওই সব ছবি দেখতে পায়। একপর্যায়ে সে ঘটনাটি ফাঁসও করে দেয়।

পুলিশের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, একদিন ভুক্তভোগী নাবালক তার এক বন্ধুকে নিয়ে শিক্ষিকার অ্যাপার্টমেন্টে মুভি দেখতে যায়।
এক পর্যায়ে তার সঙ্গে যাওয়া বন্ধুটি সেখান থেকে চলে আসে। কিন্তু থেকে যায় ওই নাবালক। এরপর শিক্ষিকা ছেলেটিকে ফুঁসলিয়ে নিজের বেডরুমে ডেকে নেন।
হঠাৎ ছলচাতুরী করে তিনি নিজের পোশাক খুলে ফেলেন। এবং ছাত্রকে তার শরীরে হাত দিতে বাধ্য করেন!
পুলিশ ইতিমধ্যে নাবালকটির দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী তার ডেস্কটপ, আইপ্যাড থেকে শিক্ষিকার একান্ত সময়ের কিছু ছবি উদ্ধার করেছে।

অভিযুক্ত ম্যারির ফেসবুক পেইজে দেখা যায়, তিনি রিলেশনশিপে বিবাহিত লিখেছেন। তার স্বামী একই স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ম্যারিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পুলিশ মহিলাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি ৫০ হাজার ইউএস ডলারের মুচলেকায় জামিনে মুক্ত আছেন।
No comments:
Post a Comment