যৌনতৃপ্তির দাবি তুলছেন ভারতের মেয়েরা

www.need365.blogspot.com
চুপিসাড়ে মহাবিপ্লব ঘটছে ভারতীয় বেডরুমে। যাবতীয় সংস্কার ঝেড়ে ফেলে যৌনসুখ পূর্ণ করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন এদেশের মেয়েরা। সম্প্রতি এক বৈঠকে ফাঁস হয়েছে নারী মনের এই রহস্য।

কিছু দিন আগে ভাসিতে যৌনতা সম্পর্কিত এক বৈঠকে উপস্থিত দেশ-বিদেশের যৌন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিরাচরিত বিশ্বাস ও অভ্যাস পাল্টে ফেলে শরীরী খেলায় যথেষ্ট সাহসী হয়েছেন আধুনিক ভারতীয় নারী।

কাউন্সিল অফ সেক্স এডুকেশন অ্যান্ড পেরেন্টহুড আয়োজিত এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নারী রোগ বিশেষজ্ঞ ইক্ষিতা আসাগেকর জানিয়েছেন, ‘কেবল নর্ম্যসহচরী হিসেবে নিজেকে আর দেখতে রাজি নন এদেশের মেয়েরা।

যৌন তৃপ্তি উপভোগ করতে পুরুষের মতোই সমান ইচ্ছুক তাঁরা। এবং সে কথা সাফ জানাতে তাঁদের কোনও সঙ্কোচ নেই।’হায়দরাবাদের বাসিন্দা যৌন বিশেষজ্ঞ ডক্টর শর্মিলা মজুমদার জানান, ‘প্রতি সপ্তাহে যৌন জীবনের স্থায়িত্ব ও গুণগত মান বাড়ানোর ব্যাপারে প্রশ্ন সমেত অন্তত ২০০টি ই-মেল পাই।

 আগে মেয়েরা নিজেদের শারীরিক অতৃপ্তি বা সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করতে লজ্জা পেতেন। এখন খোলাখুলি যৌন আকাঙ্খার কথা বলেন ওঁরা।

ভারতীয় নারী বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, শুধুমাত্র দাম্পত্যেই আটকে নেই যৌনসুখ। শোওয়ার ঘরের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে রসুই এমনকি অফিসে যৌন চাহিদা মেটাতেও কোনও সঙ্কোচ নেই তাঁদের।’



www.need365.blogspot.com


আলোচনায় উপস্থিত ডক্টর শিরিষ মালদে জানান, ‘স্বামী যৌনসুখ দিতে অক্ষম, এ কথা সোজাসুজি বলতে এখন আর দ্বিধা করেন না মহিলারা।

এমনকি, স্বামীর ধূমপান বা গুটখা চিবোনোর কারণে তিনি যৌন তৃপ্তির শিখরে পৌঁছতে পারছেন না, সে কথাও বলে দেন অকপটে। সমস্যার সমাধান করতে দম্পতির কথা ধৈর্য্য ধরে শুনে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিই আমরা।’

এক কথায় বলা যেতে পারে, এদেশের মেয়েরা যৌনতা বিষয়ে এখন অনেক সপ্রতিভ। তাঁরা এখন জেনে গিয়েছেন, যৌনতায় তৃপ্তিলাভ কারও একচেটিয়া নয়। এ ব্যাপারে পুরুষ-নারী উভয়েরই সমানাধিকার বহাল।

তাই এখন কোনও পুরুষ যৌনক্ষুধা মেটাতে অক্ষম হলে নিজের অতৃপ্তির কথা জানাতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করছেন না ভারতীয় নারী।

 আবার চিকিৎসকের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করে সঙ্গীর যৌন সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানতেও তাঁদের দ্বিধা নেই।

এমনিতেই যৌনতা নিয়ে প্রচণ্ড রাখডাক গুড়গুড় আমাদের দেশে। সেক্স শব্দটা সবার সামনে উচচ্চারিত হলেই গেল গেল রব ওঠে এখনও। আমাদের দোষ কি!।ন্যাকামি, ভণ্ডামি যা-ই বলুন না কেন এ তো উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া! তবু পুরুষরা আকারে ইঙ্গিতে এই আদিম প্রবৃত্তি নিয়ে মন্তব্য করেন।

কিন্তু মেয়েরা স্পিকটি নট। কেন! না, আমাদের সমাজ বিশেষ করে মেয়েদের এভাবেই ভাবতে শিখিয়েছে যে, যৌনসুখের অধিকারী কেবল পুরুষ। নারী নর্ম্যসহচরী মাত্র।

পুরুষ যেভাবে ভোগ করবে তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। নিজের ইচ্ছে-অনিচ্ছে সবকিছু বিসর্জন দিয়ে। এবং এই ভোগলীলা সীমাবদ্ধ থাকবে অন্ধকার ঘরের কোণে।

www.need365.blogspot.com


১০ বছর আগেও তাই সঙ্গীর যৌনসমস্যা নিয়ে মুখ খুলতে ভয়ানক লজ্জা পেত মেয়েরা। এমনকী চিকিতসকদের কাছেও। ফলে, সম্ভোগের অতৃপ্তি কুড়ে কুড়ে খেলেও তারা মুখ খুলতে নারাজ ছিল।

অবশেষে সেই ছবি পালটাতে আরম্ভ করেছে। ইদানিং ১০ জন কাপল যদি সেক্সোলজিস্টয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তবে তাঁদের মধ্যে প্রথমে থাকছেন পাঁচজন মেয়ে।

সম্প্রতি ভাসিতে কাউন্সিল অফ অ্যান্ড পেরেন্টহুড ইন্টারন্যাশনাল সেক্সোলজির উপর একটি কনফারেন্সের আয়োজন করেছিল। সেখানেই ফাঁস হয়েছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

www.need365.blogspot.com

 আলোচনায় উপস্থিত ডা. মালদে জানান, এদেশেও যৌন-বিপ্লব আসতে চলেছে। যৌনতা আর শোওয়ার ঘরে আটকে নেই। এতদিনে মেয়েরা বুঝতে শিখেছেন, চাইলে বসার ঘর, রান্নাঘর এমনকি অফিসেও সেক্সুয়াল লাইফ লিড করা যেতে পারে।

তসলিমা নাসরিন যখন জরায়ুর স্বাধীনতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মৌলবাদীরা তাঁকে ধর্মদ্রোহী আখ্যা দিয়ে তাড়িয়ে ছেড়েছিল। তসলিমা এখনও স্থায়ী সাকিন পাননি।

 সাটল ককের মতো এদশ-ওদেশ করে বেড়াচ্ছেন। ভদ্রমহিলা জানলে খুশি হবেন, তাঁর লেখা পড়েই হোক বা না পরেই এবার আমাদের দেশের মেয়েদেরও মুখ ফুটছে।

এতদিনে অনুভব করতে শিখেছে, অর্গ্যাজম কেবল বিয়ের ফসল নয়। বিয়ে ছাড়াও এই চাওয়া তারা চাইতে পারে একজন পুরুষের মতোই।

যখন-তখন, যেখানে-সেখানে। তাই এখন কোনও পুরুষ কোনও নারীর যৌনক্ষুধা মেটাতে অতৃপ্ত হলে সেই নারী সোচ্চারে জানাচ্ছে তার অতৃপ্তির কথা!

ডাক্তারের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করে সঙ্গীর যৌন সমস্যার সমাধান জানতে চাইছে।

No comments:

Post a Comment